ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুমের ৯ বছর পর মামলা

হানিফসহ আসামি ১২
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুমের ৯ বছর পর মামলা

কুষ্টিয়ায় ৯ বছর পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুমের ঘটনায় হানিফসহ ১২ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে নিখুজ তৎকালীন সময়ের কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের ছোট ভাই শেখ আরিফুল হোসেন সজীব। এ মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতাসহ আওয়ামী লীগের ১২ জনের নামসহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমালি আদালতে মামলার আবেদন করেন। বিচারক মাহমুদা সুলতানা শুনানি শেষে মামলাটি সরাসরি এফআইআর ভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়ে আদেশের কপি কুষ্টিয়া মডেল থানায় পাঠানোর নির্দেশ দেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মজমপুর গেটে শেখ মুজিব ম্যুরালে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সবুজ নামে এক যুবককে। এ ঘটনার দায় চাপানো হয় কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজের ওপর। এ ঘটনার জের ধরে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নেতৃত্বে ও অন্য আসামিদের যোগসাজশে সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাজীপুরে একটি রিসোর্টে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। সেখান চারদিন অবস্থান করার পর ২১ আগস্ট ভোরে ওই রিসোর্ট থেকে ১০/১২ জন সাদা পোশাকধারী লোক সবুজকে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে সবুজের আর কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। এমনকি সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে গিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মামলাও নেয়নি থানা। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সোমবার সবুজের ছোট ভাই কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার শেখ কাইজার হোসেনের ছেলে আরিফুল হোসেন সজিব মামলার আবেদনটি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান জানান, মামলার বিবাদিরা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবু, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহামন মোমিজ, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সভাপতি রবিউল ইসলাম, বর্তমান শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাহবুবউল আলম হানিফ হানিফের ভাই আতাউর রহমান আতা এবং আরেক ভাই আতিকুর রহমান আতিক, মোমিজের ছোট ভাই হাফিজুর রহমান হাফিজ, জগতি মিনাপাড়ার বাসিন্দা হালিমুজ্জামান হালিম, শহরের কুঠিপাড়ার বাসিন্দা নিখোঁজ সবুজের প্রতিবেশী আবু বক্কর সিদ্দিক, শহরের পিয়ারাতলার বাসিন্দা রমজান হোসেন, খোকসা উপজেলার চক হরিপুরের বাসিন্দা রবিউল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন। গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আদালতের আদেশের নথি এখনো থানায় আসেনি। নথি পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত