ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনে অফিস সহকারীকে বরখাস্ত

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনে অফিস সহকারীকে বরখাস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী হাজী ইয়াকুব আলী মণ্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রজব আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নারী কেলেঙ্কারি অপরাধে গতকাল মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে রজব আলীকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে গত দুই দিন ধরে ক্লাস বর্জন করেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- চলতি বছরের আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিবাহবর্হিভুত সম্পর্ক গড়ে রাতের অন্ধকারে অনৈতিক কাজ করার সময় স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে অফিস সহকারী রজব আলী। তারপর থেকে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিদ্যালয় থেকে রজবকে অপসারণের দাবি ওঠে। প্রধান শিকক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মাইনুল ইসলাম নামে একব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর সরজমিনে বিদ্যালয়ে তদন্তে এসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান তিনি। ফলে রজব আলীকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। গত রোববার ও সোমবার থেকে অফিস সহকারী রজব আলীকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে ক্লাস বর্জন করছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা তাদের আশ্বাস্ত করলেও ক্লাসে ফেরেনি তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- রজব আলী চাকরি হয় শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে। তার চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। ফলে এই বিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে না। যতদিন না রজবকে সরানো হচ্ছে, ঠিক ততোদিন তারা ক্লাস বর্জন করবে। এদিকে রজব আলীর অপসারণ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কারণে মাইনুল ইসলামের বাড়িতে হামলাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে রজব আলীর লোকজন। জানতে চাইলে মাইনুল বলেন, অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য রজবের পক্ষের লোকজন আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তারা বাড়িতে হামলার কথা বলেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রজব আলী গাঢাকা দিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নয়াদিয়াড়ী হাজী ইয়াকুব আলী মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষখ মোহা. শাহজাহান আলি বলেন, রজব আলীর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলায় একটি অভিযোগ হয়। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা এসে তদন্ত করেছেন। রজব আলিকে চাকরিচ্যুতের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত দুদিন ধরে ক্লাস বর্জন করেছে বলেও জানান তিনি। গোমস্তাপুর উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলি বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের সঙ্গে কথা বলেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে কথা বলে রজব আলীকে বিদ্যারয়ের অফিস সহকারী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত