প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
শিক্ষাই হলো জাতির মেরুদণ্ড, সেখানে শিক্ষার মেরুদণ্ড হলো শিক্ষকেরা। কিন্তু সেই শিক্ষক যদি হয় স্বার্থবাদী, দুর্নীতিবাজ তাহলে কেমন জাতি তৈরি হবে? এমন প্রশ্ন তুলেছে বায়রা হাইস্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
প্রধান শিক্ষককে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী ‘বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়’ এর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে গত ১০ দিন ধরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মানিকগঞ্জের সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল জুনায়েদ হোসেনের নির্দেশে দুই গাড়ি সেনাসদস্য ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সেনাবাহিনী পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক পর্যায়ে এনে ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন। বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিল্লাল হোসেন স্যার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। আমাদের স্কুলের চারপাশে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বড় বড় গাছ ছিল, সেসব গাছ অবৈধভাবে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফিস ও অন্যান্য ফী বৃদ্ধি করা হয়েছে। বোর্ড পরীক্ষার সময় ছাত্রদের ফেল করিয়ে প্রতি সাবজেক্টে ৫/৭ হাজার টাকা আদায় করেন তিনি। তার অদক্ষতায় শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে, সিংগাইর উপজেলায় ৪৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪তম স্থানে আমাদের নাম। ছাত্রছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের নানাবিধ দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে তার পদত্যাগ দাবি করেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. হালিম বলেন, আন্দোলনের আভাস পেয়েই বিল্লাল স্যার স্কুল ছেড়েছেন। শুধু দুপুরের দিকে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়েই দ্রুত বাইক নিয়ে চলে যান। ছাত্রদের এই আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে সিঙ্গাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কমিটি গঠন করে অতি দ্রুত সমাধান করা হবে। সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।