ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জমিতে ধান রোপণে বাধা দেয়ায় হামলা : আহত দুই

জমিতে ধান রোপণে বাধা দেয়ায় হামলা : আহত দুই

গত প্রায় ৩ যুগ আগে রেজিস্ট্রিমূলে ক্রয়কৃত ও ভোগদখলে থাকা জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করতে গেলে ওয়ারিশের দাবি এনে বাধা প্রদান করে নজরুল ইসলাম গংরা। তাদের এই অন্যায় দাবির প্রতিবাদ করায় নজরুল গংদের হামলার শিকার হয় আছিয়া খাতুন ও আকাব্বর আলী। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ৯ ব্যক্তির নামে থানায় মামলা দায়ের করলেও আদালত থেকে নজরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান ওরফে বাচ্চা ছাড়া বাকিরা জামিনে এসে বাদীকে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এতে বাদীপক্ষ রাজি না হওয়ায় বিবাদীরা নিজ খড়ের পাল্লায় আগুন দিয়ে কাউন্টার মামলা করে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের পূর্ব ধানশাইল গ্রামে। থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও এলাকাবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ধানশাইল গ্রামে মৃত ছফর উদ্দিনের দুই ছেলে।

একজন এন্তাজ আলী অপরজন আফসার আলী। এন্তাজ আলী তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ও নিজ নামীয় আরওআর, বিআরএস ও সিএস ভুক্ত মালিক বটে। তার কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তার স্ত্রী শহিতন নেছা এবং মেয়ে রাবিয়া খাতুন ওরফে পারুলকে হেবাবিল এওয়াজমুলে বিভিন্ন দাগ থেকে ১ একর ১১ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রিমূলে লিখে দেন এন্তাজ আলী। পরবর্তীতে শহিতন নেছা এবং মেয়ে রাবিয়া খাতুন ওরফে পারুল সাংসারিক প্রয়োজনে তাদের নামীয় রেজিস্ট্রিকৃত জমি থেকে দুইটি দলিলে পৃথক পৃথক সময়ে চাপাঝুড়া গ্রামের সৈয়দ জামালের কাছে মোট ৫০ শতক জমি সাবকওলায় বিক্রি করে। এ বিষয়ে অভিযোগের বাদী ও মৃত সৈয়দ জামালের ছেলে আকরাম হোসেন এই প্রতিনিধিকে জানান, আমার বাবার ক্রয়কৃত জমি জবরদস্তি করে বেখদলের পায়তারা করছে নজরুল গংরা।

আমরা এর ন্যায় বিচার চাই। বিবাদী নজরুল ইসলাম গংদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হলে তারা জানান, আমার বাবা জমি বিক্রি করলেও উক্ত জমি আমাদের নামে রেকর্ড ভুক্ত থাকায় ওই জমির দাবিদার আমরা। কিন্তু এলাকাবাসী বলছেন, নজরুল গংদের বাবা মৃত আফসর আলীর জীবদ্দশায় দাগের সমস্ত জমিই দুই জনের কাছে মোট ৭৫ শতক জমি বিক্রি করলেও পরবর্তীতে ভুলক্রমে তার ছেলে ও মেয়েদের নামে কিছু জমি রেকর্ড ভুক্ত হয়।

তবে উক্ত রেকর্ড বিষয়ে আদালতে মামলায় একটিতে নজরুল গংরা হেরে যায়। অন্যটি চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে অত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইগাতী থানার এসআই মো. সাফায়েত হোসেন জানান, আদালত থেকে ৯ আসামির মধ্যে সাতজন জামিনে এলেও নজরুল ও বাচ্চা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত