ফুলপুর মহিলা কামিল মাদ্রাসায় পরস্পরবিরোধী অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। জানা যায়, ফুলপুর মহিলা কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুল জলিল ও তার পুত্র হুমায়ুন কবির প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যক্ষ শাহ তাফাজ্জল হোসেনের অভিযোগ, এ সময় সভাপতি প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের ১৩ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে। টাকা ফেরত চাওয়ায় তার সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। পরে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তাদের সাথে আঁতাত করে অধ্যক্ষবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। উপাধ্যক্ষ মো. শফীকুল ইসলামসহ কতিপয় শিক্ষক ও কমিটির সদস্য তাদের সাথে যোগ দেয়। অধ্যক্ষ শাহ তাফাজ্জল হোসেন চিকিৎসার জন্য গত ২৪ মার্চ ভারত গিয়ে ১৮ দিন অবস্থান করেন। এসময় উপাধ্যক্ষ মো. শফীকুল ইসলাম অফিস সহকারীর কাছ থেকে অবৈধভাবে মাদ্রাসার হিসাব নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় খাতাপত্র নিয়ে যায়। সভাপতিকে নিয়ে বিগত ৬ মার্চের রেজ্যুলেশন পরিবর্তন করে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির ২ সদস্যকে অপসারণ করে বিধিবহির্ভূতভাবে তিনজনকে যোগ করে। ৫ সদস্যের অডিট কমিটির তিনজনই হলেন অর্থ ও ক্রয় কমিটির সদস্য। এ কমিটি অধ্যক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠানের অনেক টাকা পাওনা বলে অডিট রিপোর্ট পেশ করে। অধ্যক্ষ শাহ তাফাজ্জল হোসেন অডিট রিপোর্টে আপত্তি জানিয়ে এবং খাতাপত্র ফেরত পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যবিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ বিষয়ে উপাধ্যক্ষ মো. শফীকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল জলিল ও তার পুত্র হুমায়ুন কবির প্রতিষ্ঠানের অর্থ নেয়ার বিষয় অস্বীকার করে অধ্যক্ষকে দায়ী করেছেন। সদ্য সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।