চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ, দেশ পুনর্গঠন, রাষ্ট্র সংস্কার, ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস নির্মূলে ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভা এবং সমাবেশ পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় স্থানীয় হোটেল শাহিদ প্যালেসের সেমিনার হলে এই মতবিনিময় সভা ও বিকাল ৩টার সময় টাউন ফুটবল মাঠে ছাত্র জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি রাজনীতি বিষয়ক এমফিল গবেষক শাহরিয়ার আলম পান্নার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচ্য বিষয়ের উপরে মতামত ব্যক্ত করেন, জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার গোলাম মওলা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন, জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, সুজনের সভাপতি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রমুখ। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৩টার সময় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সফরকারী প্রতিনিধি দলের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ উজ্জামান, আকরাম হোসেইন রাজ, আশরেফা খাতুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বকর খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারহানা ফারিনা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বজিৎ দত্ত, ঢাকা কলেজের মঈনুল ইসলাম, এনইউবি’র তৌহিদুল ইসলাম শুভ, ডিআইইউর মো. বাবু খান এবং বদরুন্নেসা কলেজের জান্নাতুল জান্নাতসহ চুয়াডাঙ্গার নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশের অতন্ত্র প্রহরী হিসাবে এদেশের ছাত্র-জনতাকে সবসময় সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নেতারা বলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে এখনও বিরাজমান। সে কারণে রাষ্ট্র সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের আন্দোলন এখনো চলছে, পতিত স্বৈরাচারের সম্পূর্ণ অপকর্মের বিচার এবং পুরোপুরি রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহত, নির্যাতিত সব বিচারপ্রার্থী ছাত্র-জনতার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।