বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের দিন থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আওয়ামী লীগের অপকর্মকারী নেতা নেত্রীদের। জানা যায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নীলফামারী জেলার ডিমলা জলঢাকা ও সদরে পারিবারিক লীগের তাণ্ডবে দিশেহারা হয় দুঃসময়ের কর্মী থেকে বিরোধী দলীয় নেতারা। এদের অত্যাচারে জেল জুলুম শুরু করে অনেকে দেশত্যাগে বাধ্য হন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার এর পরিবার একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে ডিমলায়, সিমান্ত চোরাচালানে তার আপন ভাতিজা জেলা পরিষদের সদস্য ফেরদৌস পারভেজ গডফাদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন, এবং আগুন খাওয়া বাহিনী নামে একটি ক্যাডার সংগঠন গড়ে তোলেন এবং ভাতিজা সায়েম সরকার কে ছাত্রলীগের সভাপতি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার। এ ছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ তারই বংশধর দাড়া নিয়ন্ত্রিত। আর এসব কাজে তাকে সাপোর্ট করতো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক। জলঢাকা উপজেলার সাবেক সাংসদ আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা তার সময়ে ২০১৪ থেকে ১৮ পর্যন্ত একক আধিপত্য বিস্তার করে উপজেলায়, যদিওবা প্রতিদ্বন্দ্বী জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর এবং সদ্য বিলুপ্ত সংসদের সাংসদ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাদ্দাম হোসেন পাভেল ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামিম হোসেন এর কারণে বাধাগ্রস্ত হতে হতো। নীলফামারী সদরের আওয়ামী লীগের সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর দলীয় উপদেষ্টা হিসেবে নিজেকে জাহির করে ব্যাপক দুর্নীতি করেন। তার আশীর্বাদপুষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, এলাকায় দুর্নীতির সাম্রাজ্যে গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালের টেন্ডার, জোরজবরদস্তি জমিন দখল, ত্রাণের বিনা টেন্ডারের কোটি কোটি টাকার কাজ নামকাওয়াস্তে করেছেন বলে সরজমিনে পাওয়া যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ ছিলেন নামে মাত্র সভাপতি, গোটা সংগঠন নিয়ন্ত্রণ হতো এমপি আসাদুজ্জামান নূর এর ইশারায়। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে আকাশসম, নিজের পালিত ছেলেপুলে দিয়ে ত্রাণ, কাবিটা প্রকল্পের টাকা বছরের পর বছর ধরে আত্মসাৎ করে আসছে আসাদুজ্জামান নূর এমপির এপিএস তরিকুল ইসলাম। এদিকে সরকার পতনের দিন থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা আওয়ামী লীগের এই আলোকিত নেতাকর্মীদের। এক্কেবারে মাঠ শূন্য আওয়ামী লীগের ঘাটি বলে পরিচিত নীলফামারী।