বড়পুকুরিয়ার ৩টি ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার ৩দিন পরে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নাম্বার ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। বড়পুকুড়িয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান যে. গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে ১ নাম্বার ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এই ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট উৎপাদন সক্ষম। তবে প্রথম পর্যায়ে ইউনিটটি ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করছে। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের ২ নাম্বার ও ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩ নাম্বার ইউনিট বন্ধ আছে। এর মধ্যে ২ নাম্বার ইউনিট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও ৩ নাম্বার ইউনিটটির উৎপাদন কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ বন্ধ হলে পুরোপুরিভাবে বড়পুকুড়িয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল হয়ে পড়ে। জানা যায়. ইলেক্ট্রো হাইড্রলিক ওয়েল পাম্প নষ্ট হলে ৩ নাম্বার ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায় যে, কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট সচল রাখতে দৈনিক ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন কিন্তু বিগত ১৮ বছরে কখনোই ৩টি ইউনিট এক সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়নি। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ আছে। ২০০৬ সালে পার্বতীপুরের বড়পুকুড়িয়া কয়লা খনির পাশেই ১ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনা কারিগরি সহতায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিল। উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা বিশেষ করে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়টি মূল উদ্দেশ্য থাকলেও দীর্ঘ ১৬ বছরে সেই লক্ষ পূরণ হয়নি।