ঢাকা ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ ব্যাহত

সওজ বিভাগের একই কর্মকর্তার তিন বিভাগের দায়িত্ব পালন

সওজ বিভাগের একই কর্মকর্তার তিন বিভাগের দায়িত্ব পালন

সিরাজগঞ্জে সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী বিভাগের একই কর্মকর্তা তিনটি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এতে ওই প্রকৌশলী বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) জাহিদুর রহমান মিলু সাব-ডিভিশন-২ এর দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এ বিভাগে প্রায় সাড়ে ৩ বছর অবস্থান করছেন। সাব-ডিভিশন ১ সিরাজগঞ্জ ও সাব-ডিভিশন উল্লাপাড়া বিভাগের কর্মকর্তারা বদলি হয়েছেন। এ বদলিজনিত কারণে প্রায় ৬ মাস ধরে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মিলু (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব পালন করছেন। এ ৩টি সাব-ডিভিশনে প্রকল্প সমূহে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হয়েছে। এখনও অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব বড় প্রকল্পের কাজে ওই কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন। যে কারণে প্রকল্পসমূহের কাজ ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রকল্পের সময়সীমাও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। প্রকল্পসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৩২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নলকাণ্ডসিরাজগঞ্জ সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে। এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর, ধুনট-শেরপুর প্রকল্পের ৮টি গ্রুপে ১ হাজার ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে। এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৫ সালের জুন মাসে। এ দুটি বড় প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে প্রকল্পের সময় বাড়ানো প্রক্রিয়াও চলছে। এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মিলু আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ওই দুটি সাব- ডিভিশনে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্প সমূহের কাজ যথানিয়মে চললেও প্রকল্প বাস্তবায়নে হিমশিমে পড়তে হচ্ছ্।ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেনেও ওই দুটি সাব-ডিভিশনে এখনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্য কথায় তিনি আরো বলেন, সিরাজগঞ্জে নাকি কোন কর্মকর্তা আসতে চাচ্ছেন না। এর চেয়ে আর কিছু বলতে তিনি অসম্মতি জানান। সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, কিছুদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। ওই দুটি সাব-ডিভিশনের বিষয়ে জেনেছি। খুব শিগগিরই এ সমস্যা নিরসন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত