সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অন্যান্য অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে সাতক্ষীরার ডিডিএলজিকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে-সাতক্ষীরা পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ না করে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে নিজেদের স্বার্থে লাভজনক খাতে ভুয়া প্রকল্পের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ১৮৮ টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বেআইনিভাবে আর্থিক অনুদান দেখিয়ে ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, কোনো কাজ না করেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন পদে ১০ জন কর্মচারী নিয়োগ ও অর্থের বিনিময়ে বিধিবহির্ভূতভাবে চারজন মাস্টাররোল কর্মচারী নিয়োগ, অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌরসভা পরিচালিত দি পোলস্টার স্কুলে কর্মচারী নিয়োগ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের সঙ্গে মিলে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িচালক শেখ শহিদুল্লাহকে বেআইনিভাবে অধিকাল ভাতা দেয়ার নামে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭১ টাকা আত্মসাৎ, ভাগ্যকুল মার্কেটের জায়গা বরাদ্দের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায়, কোরাইশ ফুড পার্কের লাইসেন্সের ফাইল আটকে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়া এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের অর্থ বেশি দেখিয়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ।
অভিযোগগুলো তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠাতে সাতক্ষীরার ডিডিএলজিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক নির্বাচিত মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি জানান, কাজী ফি?রোজ হাসান ও সিইও নাজিম উদ্দীন মিলে পৌরসভার কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তদন্ত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।