চার মাসেরও অধিক সময় পরে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির উপর থেকে আরোপিত ৪০ ভাগ শুল্ক প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশের আমদানিকারকদের স্বস্তি দেখা দিয়েছে। হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাবে আর সেই সাথে পাইকারি ও খুচরো বাজারে কমবে পেঁয়াজের দাম। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি বন্দরের একাধিক আমদানিকারক জানান যে. ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্তার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানান যে ৪ মাসেরও অধিক সময় পরে পেঁয়াজ রপ্তানির উপর হতে ৪০ ভাগ শুল্ক তুলে নিয়েছে সরকার। রফতানিকে নিরুসাহিত করার জন্যই অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। হিলির আমদানিকারকরা জানান যে. অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার হওয়ায় এখন পেঁয়াজ আমদানি বাড়ার পাশাপাশি বাজারে দাম কমবে।
গতকাল রোববার হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে, ভারতের নাসিক ও ইন্দোর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৪-৮৬ টাকা কেজি দরে আর দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। জানা যায়, এর আগে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল ৫৫০ডলার। এর সাথে অতিরিক্ত ৪০ ভাগ শুল্ক যোগ হয়ে ভারতের পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়তো ৮৪-৮৬ টাকা। এখন শুল্কবিহীন উন্মুক্ত ডলারে আমদানির ফলে দাম অনেকাংশ কমে যাবে বলে দেশি আমদানিকারকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে হিলি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন এ ব্যাপারে আমরা এখনো কোন লিখিত কাগজ পাইনি; কিন্তু শুনিছি। পেঁয়াজ আমদানিকারক নূর আলম বাবু বলেন, শুল্ক না থাকায় ২-১ দিনের মধ্যে নতুন মূল্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা শুরু হবে।