গত ১২ সেপ্টেম্বর আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় ‘নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন’ শীর্ষক প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফেনীর সোনাগাজীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারী সেনা কর্মকর্তা, তার ভগ্নিপতি পুলিশ কর্মকর্তার অত্যাচার, নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি থেকে বাঁচতে জহির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ফলে সৃষ্ট এই সংকটে সরকারি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে।
যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার অন্তরায় বলে কমিশন মনে করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের (সুয়োমটোর) বিষয়বস্তু উল্লেখ করা হলো: প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী জহির সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা না নিলে তিনি গত ১৬ মে আদালতে সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনকে বিবাদী করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ ও সেনাকর্মকর্তা ব্যবসায়ী জহির ও তার স্বাক্ষীদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা নিজেদের সরকারি কর্মকর্তা দাবি করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনৈতিক হস্তক্ষেপ চালিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করছেন।
যার ফলে তিনি ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করেছেন। সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, অভিযোগটি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ফলে সৃষ্ট। তবে এ বিষয়ে একজন সেনা কর্মকর্তা ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক সরকারি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার অন্তরায়।
এ অবস্থায়, অভিয়োগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে আগামী ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি সভাপতি, জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি ও জেলা প্রশাসক, ফেনীকে দেয়া হয়েছে।