ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কয়রায় অতি বৃষ্টিতে আমনের খেত ও চিংড়ি ঘের পানির নিচে

কয়রায় অতি বৃষ্টিতে আমনের খেত ও চিংড়ি ঘের পানির নিচে

সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় সপ্তাহজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। রোপা আমনের ক্ষেত ও চিংড়ি ঘেরগুলো এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। বেশিরভাগ বিলে পানি নিস্কাশনের সুযোগ কম থাকায় সদ্য রোপন করা ধানপাতা পচে নষ্ট হওয়ার আশংকায় ভুগছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে চলতি বর্ষা মৌসুমে আমনের চাষাবাদ হয়েছে। তিন সহস্রাধিক চিংড়ি চাষি ছোট বড় বাগদার ঘের তৈরি করে চিংড়ি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি, দক্ষিণ বেদকাশি ও মহারাজপুর এলাকার ২০টি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার হাজার হাজার হেক্টর জমির আমনের খেত গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে ৪নং কয়রা, ১নং কয়রার পায়রাতলার আইট, মাঝের আইট, ৩নং কয়রা, পূর্ব ও পশ্চিম মহারাজপুরের বিল, মহেশ্বরীপুরের গিলাবাড়ি বিলের সদ্য রোপনকৃতা আমনের খেতগুলো পানির নিচে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। মাঝের আইট গ্রামের কৃষক দিলীপ মণ্ডল জানিয়েছেন স্লুইজ গেট অকেজো থাকায় পানি নিস্কাশনের তেমন সুযোগ না থাকায় ধানখেত বৃষ্টিতে তলিয়েছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হলে ধানপাতা মরে যাবে। পূর্ব মহারাজপুর গ্রামের কৃষক মো. আশরাফ আলী বলেন, বৃহৎ এ বিলের পানি নিস্কাশন হয় সুতি স্লুইজ গেট দিয়ে। কিন্তু ধীরগতিতে পানি নিস্কাশন হওয়ায় ধানপাতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকার হাজার হাজার কৃষক। ৬নং কয়রা গ্রামের চিংড়ি চাষি আব্দুর রশিদ মল্লিক জানান, কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে এখানকার দু’শতাধিক চিংড়ি ঘের একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের রাস্তাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সর্বত্র থৈ থৈ করছে। উত্তর বেদকাশির বড়বাড়ী এলাকার কৃষক মাও. শাহাদাত হোসেন বলেন, একটানা বৃষ্টিতে ধান ও তরকারির খেত তলিয়ে গিয়ে কৃষকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত