সাটুরিয়ায় সড়কের বেহাল দশা ৪০ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. খোকন, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৈজুরী-মালশী গ্রামের কাঁচা সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির জন্য প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, ৪০ বছর হলেও এই রাস্তায় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে প্রায় সোয়া ২ কিলোমিটারের গ্রামীণ এই কাঁচা রাস্তাটি খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে আছে। দেখলে মনে হবে এটি রাস্তা নয়, ধানের চারা রোপণের জন্য হালচাষ করা হয়েছে। রাস্তাটি এমনই বেহাল, চাইলে এখন এ রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও কোনো অবস্থা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিনের বাবা তৎকালীন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এই রাস্তাটি করেছিলেন।

তবে দীর্ঘ ৪০ বছরেও এ রাস্তায় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। মাঝে মধ্যে রাস্তায় মাটি ও ইটের আদলা ফেলে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হয়। বর্তমানে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাশয় তৈরি হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটিতে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ এলাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ পথ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে নানা দুর্ঘটনায় সম্মুখিন হচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী, অসুস্থ ও বয়স্ক লোকজনের যাতায়াত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কখনো কখনো মানুষ অসুস্থ হলে এ পথ দিয়ে যেতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এমনকি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, পথচারীরা এ পথ দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে কাদামাটি মাড়িয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য কষ্টের। প্রায় সোয়া দুই কিলোমিটারের রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটেও চলাচল করা যায়না। ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে কষ্ট হয়।

রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয় কিন্তু সেটাও অনেক ঝুঁকির। রাস্তাটি পাকা করনের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, কৈজুরী থেকে মালশী পর্যন্ত রাস্তাটি কার্পেটিং এর জন্য এমপি কোটায় প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু সেখানে আশানুরুপ কোন তথ্য না পাওয়ায় পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) এর কাছে ড্রেনেজসহ রাস্তাটির জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করেছি। আশা করছি শিগগিরই একটা ভালো খবর পাব। যদি তা না হয় তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তাটি ইট সোলিং করে দেয়া হবে, এমনটি আশ্বাস দেন তিনি।