বেনাপোল কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল অক্টোবরেই চালু হচ্ছে

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বেনাপোল প্রতিনিধি

আগামী অক্টোবর চালু হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল। নতুনএই টার্মিনালে একসঙ্গে রাখা যাবে প্রায় ১ হাজার ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক। এর ফলে, বন্দরে আসা ট্রাকের মালামাল দ্রুত লোড-আনলোড সম্ভব হবে। এতে করে একদিকে যেমন যানজট কমবে, তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে। গতকাল বুধবার প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলী বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হবে। আশা করছি, অক্টোবরেই টার্মিনালটি উদ্বোধন হবে। চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা ও রাজস্ব আয় দুই বাড়বে। কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণে সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে বুয়েট, কুয়েট এবং নিজস্ব ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে। স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। প্রায় ২৪ একর জমির উপরে নির্মিত এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণে ১০৯ কোটি এবং নির্মাণ কাজে ২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। বন্দর সূত্র জানায়, কার্গো টার্মিনালে ১২০০ থেকে ১৫০০ ট্রাক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পার্কিং ইয়ার্ড, কার্গো ভবন, বন্দর সেবা ভবন, ইউটিলিটি ভবন, ফায়ার স্টেশন, আধুনিক টয়লেট কমপ্লেক্স, ওয়ে ব্রিজ স্কেলসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেই টার্মিনালটি চালু করা সম্ভব। এটি চালু হলে বন্দরে দীর্ঘদিনের যানজট হ্রাস পাবে এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, টার্মিনাল উদ্বোধন হলে দীর্ঘদিনের যানজট, পণ্যজট কমে যাবে। ১০০০-১৫০০ ট্রাক একসঙ্গে রাখতে পারায় পণ্য দ্রুত আনলোড সম্ভব হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতীয় ট্রাক পণ্য নামিয়ে চলে যাবে। পণ্য ছাড় করতে দেরি হলে আমদানিকারকদের যে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো, সেটি আর লাগবে না। আর যতো বেশি পণ্যবাহী ট্রাক আনলোড হবে, সরকার ততবেশি রাজস্ব পাবে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়।

স্থান সংকটে অনেক পণ্য রাখা হয় খোলা আকাশের নিচে। এ ছাড়া ভারতীয় ট্রাকগুলো পণ্য নিয়ে দিনের পর দিন বসে থাকে। জায়গা না থাকায় আনলোড করতে সমস্যা হয়। টার্মিনাল চালু হলে এ সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে বলে মনে করেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সড়ক ও রেল যোগাযোগ সহজ হওয়ায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য বেড়েছে বহুগুণ। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভোগান্তি। এই সংকট উত্তরণে এবং স্থলবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বেনাপোলে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।