ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুমকিতে টানা বর্ষণে আমনের চারা সংকট, দিশাহারা কৃষক

দুমকিতে টানা বর্ষণে আমনের চারা সংকট, দিশাহারা কৃষক

পটুয়াখালীর দুমকিতে টানা ভারি বর্ষণে ফসলি জমি, নদী নালা, খাল ও পুকুরের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমন চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চলতি মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা বেশ কয়েকবার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বীজের সঙ্কট দেখা দিয়েছে চরম আকার। কৃষকরা বিভিন্ন স্থান থেকে চড়া দামে বীজ সংগ্রহ করলেও খেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তাদের হতাশা বেড়ে গেছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্রুত পানি না নামলে তাদের বীজ তলাসহ ক্রয়কৃত আমন চারা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আমনের ফলনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে প্রায় একই চিত্র দেখা যায়। উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কার্তিক পাশা গ্রামের কৃষক মাসুদ মোল্লা বলেন, আমি ৪ একর জমি চাষাবাদের লক্ষ্যে বীজ বুনেছিলাম। কিন্তু সম্পূর্ণ বীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধারদেনা করে মরিচ বুনিয়া থেকে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা দরে বীজ ক্রয় ও আনুষঙ্গিক খরচসহ ১০০০ টাকা পড়েছে। কিন্তু বিধি বাম সব জমিতে পানি জমে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।

শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চড়া দামে বীজ কিনে জমিতে রোপণ করছি। তবে বীজের অভাবে হয়তো কিছু জমি ক্ষতির থাকতে পারে। এলাকার অধিকাংশ কৃষক জানান, এখন আশ্বিন মাস। সময়মতো আমন চারা রোপণ করতে না পারলে এর প্রভাব ফসলে পড়তে পারে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, বৃষ্টির আগে যে সব কৃষকরা আমন চারা রোপণ করেছিলেন, পানি জমে তাদের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন যারা রোপণ করছে তাদের বীজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমন চারা সঙ্কটে যে সব কৃষকদের জমি অনাবাদি থাকবে তাদের জন্য আগাম রবি ফসল চাষাবাদের জন্য কৃষি প্রণোদনা দেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত