ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজম মুকুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। বুধবার বোরহানউদ্দিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পরান আহসান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগ, আওয়ামী যুবলীগ নেতা সবুজ গোলদার, হুমায়ুন গোলদার, নুরনবী ও নুর উদ্দিন ফরাজী সহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাজারে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগের অফিস কক্ষে সাবেক এমপি আলী আজম মুকুলের নির্দেশে আসামিরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে সাবেক এমপি মুকুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা, হাতঘড়ি ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আলী আজম মুকুলের নির্দেশে আসামিরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, এমনকি তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করে সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীমসহ বিএনপির গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করেন তারা এরপর প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা পর স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহ মো. আহসান উল্লাহ সুমন বলেন, বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি আলী আজম মুকুলের মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই সাবেক এই এমপি আত্মগোপনে রয়েছেন। উল্লেখ্য, এটি সাবেক এমপির বিরুদ্ধে হওয়া ৩য় মামলা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দৌলতখান এবং ভোলা সদর থানায় আরো দুটি মামলা হয়েছে।
