চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালি বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সার-কীটনাহক, সবজি, ডিম, মুদি দোকান দাঁতের চিকৎসকসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। এ সময় মেসার্স নিজামুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামক সার-কীটনাশকের প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও সার ক্রয় বিক্রির ভাউচার না রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিজামুল হায়দারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স মজিবার স্টোরের মহিবুল ইসলামকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, অস্বাস্থ্যকরভাবে খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ ও নিম্নমানের মেয়াদবিহীন শিশুখাদ্য বিক্রির অপরাধে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মেসার্স বাবুল ডেন্টাল কেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ডেন্টিস্ট বাবুল হক নিজেকে সব জায়গায় ডেন্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন। তার প্রেসক্রিপশন ফর্মেও ডেন্টিস্ট পরিচয় দিলেও তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সনদ। পরবর্তীতে তিনি অষ্টম শ্রেণি পাশ বলে জানান কিন্তু সনদ দেখাতে পারেননি। কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি না নিয়েই নামের আগে ডেন্টিস্ট ব্যবহার করে দাঁতের সব চিকিৎসা ও অপারেশন করে আসছিলেন। ভুয়া ডাক্তার সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এই ভুয়া ডাক্তারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং চেম্বারসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।