ভ্রমণবিলাসীরা সবসময় প্রশান্তির আশায় খুঁজেন এমন কোনো এক গন্তব্য, যেখানে মিলবে জাগতিক ব্যস্ততা দূরে রেখে মানসিক তৃপ্তি। এই আনন্দ উপভোগের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার আবারো ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঢল নামতে শুরু করেছে পর্যটকদের। আকাশপথে, ট্রেনে ও সড়কপথেও আসছে পর্যটকের দল। সবারই যেন গন্তব্য কক্সবাজারের ইনানী সৈকত। পর্যটন সমৃদ্ধ দেশগুলোতে গুরুত্ব দেয়া হয় পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দকে এবং সেভাবেই তৈরি করা হয় অবকাশকেন্দ্রের পরিবেশ। নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও যুগের সঙ্গে এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ হচ্ছে দিন দিন বিকশিত। রাজধানী ঢাকার শান্তিনগর বাজার রোড এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান বৃদ্ধ মা-বাবাসহ পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে বেড়াতে এসেছেন কক্সবাজার সৈকতে। তিনি উঠেছেন মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকত এলাকার ‘দি ওয়েভ রিসোর্টস’ নামের একটি রিসোর্টে। কক্সবাজারের শহরকেন্দ্রিক সৈকতের হৈ- হুল্লোড় বাদ দিয়ে নির্জন ইনানী সৈকতের মজাই অন্য রকমের, মন্তব্য জিয়াউলের। পর্যটকের আনাগোনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৈকতে নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ছাড়াও জেলা পুলিশ। ফলে ইনানী সৈকতে বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা।
কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এমনিতেই পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু জুলাই-আগস্টে দেশের পটপরিবর্তনের কারণে পর্যটন ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছিল। এবারের বর্ষা মৌসুমটি গেছে ভারি বর্ষণের মধ্য দিয়ে। গত দুই সপ্তাহের টানা ভারি বর্ষণসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেও পর্যটকদের সময় গেছে অত্যন্ত নিরানন্দে। এ সময়ে পর্যটকের তেমন ভিড় ছিল না। যারা এসেছিল তারাও ফিরেছে অনেকটা অতৃপ্তি নিয়ে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা আরো জানান, সৈকতে আগের তুলনায় তৎপরতাও বাড়িয়েছে উদ্ধারকারী লাইফগার্ড কর্তৃপক্ষ। সৈকতে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিয়োজিত থাকে পর্যটকদের সেবায়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন জানান, বর্ষা মৌসুম এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ কারণে সাগরের পানি এখনো একটু উত্তাল।