রোদের প্রখর তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নীলফামারীতে। সূর্যের প্রখর তাপ দিচ্ছে শরীরে আগুনের ছোঁয়া। খুব সকালে একটু স্বাভাবিক থাকলেও সকাল ৭টা থেকে গরম বাড়তে থাকে এবং বেলা গড়িয়ে সূর্যের তাপ আরো তীব্র তাপমাত্রা ছড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড এই গরমে মানুষ থেকে শুরু করে প্রাণীকূলেও উঠেছে চরম নাভিশ্বাস।মানুষ আকাশের দিকে চেয়ে থাকে একটু বৃষ্টির আশায়। এমন পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে ভাইরাস জ্বর, পেটের পীড়া, ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। কষ্টের শেষ নেই খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমিকদের। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পুকুরসহ ক্যানেলের পানিতে লাফালাফি করতে দেখা যায় তরুণ কিশোরদের। আর মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না গিয়ে কাজের ফাকে একটু স্বস্তির আশায় গাছের ও বাঁশ বাগানের নিচে হাত পাখা নিয়ে বসে থাকেন।
নীলফামারী বড় বাজারের অটোরিকশা চালক মালেক জানান, সংসারের খাবার সংগ্রহের জন্য এই প্রচণ্ড রোদে বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে, ছেলে মেয়েদের মুখের আহারের জন্য, অবশ্য অটোতে খাটুনি তেমন নেই কিন্তু যারা পেটেল মেরে রিকশা চালাচ্ছেন তাদের অবস্থা করুন। তা ছাড়া আমাদের গরীবের আবার গরম, ঝড় বাদল কি? কাজ করলে পেটে ভাত আর না করলে অনাহার।
গরমে একটু ফল খেতে বাজারে ঢুকলে মাথায় হাত দিতে হয়, ডাব প্রতি ১৩০ টাকা, আঙ্গুর কেজি ৫০০ টাকা, আপেল ৪০০ টাকা, কমলা কেজি ৫০০ টাকা।
নীলফামারীর চৌরঙ্গী মোড়ে দারোয়ানি থেকে আসা ক্রেতা রোকসানা পারভিন বলেন, সপ্তাহ খানেক আগের ফলের দামের চেয়ে দ্বিগুণ, কমলা কেজি ৩৫০ এখম ৫০০ টাকা, ফলের বাজারও সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে, ঘনঘন মনিটরিং করলে ক্রেতার জন্য ভালো হয়। তীব্র গরম বিষয়ে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু আল হাজ্জাজ জানান, চলমান এই আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে ভাইরাস জ্বর, পেটের অসুখ প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জন করে এসব রোগী দেখছি, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি এই তাপ দাহে বেশি করে সকলকে পানি পান করতে বলেছেন।