ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পিলখানায় সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালায় আ.লীগ সরকার

স্মারকলিপিতে অভিযোগ
পিলখানায় সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালায় আ.লীগ সরকার

মেধাবী সেনা কর্মকর্তা তথা বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার নীল নকশার অংশ হিসেবে পিলখানায় ন্যক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ চালায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার বহুমুখী নীল নকশার অংশ হিসাবে পিলখানায় এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।

গতকাল রোববার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে লোমহর্ষ এসব তথ্য তুলে ধরেন ২০০৯ সালে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

সেনাবাহিনীর সামর্থ্য ক্ষুণ্ণ করতে এবং বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার জন্য, প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এবং ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে নীল নকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালায় বলে অভিযোগ করেছে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

তারা ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত-পূর্বক চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানান। পরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ৫ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চাকচি্যুত সুবেদার আক্তারুজ্জামান, মো. রমিজ উদ্দিন, সাইদুর রহমান, সুবেদার আরশাদ আলী এবং মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়- ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ তারিখে পিলখানায় সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শাহাদতবরণ করেছেন। ঘটনার পরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নারীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত করে সারা দেশে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেন ফ্যাসিস্ট সরকার। আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

মানিকগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক বলেন, আপনারা জানেন ২০০৯ সালে আজ থেকে ১৫ বছর আগে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এসময় হাজার হাজার বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত এবং তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। পিলখানার ঘটনা পুনঃতদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। এছাড়াও এখনো যেসব বিডিআর সদস্যরা জেলাখানায় সাজা ভোগ করছেন তাদের ছেড়ে দেয়া হোক। চাকরিচ্যুত সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিডিআর বিদ্রোহের নামে মানিকগঞ্জ জেলার ৪৭ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এদের মধ্যে একজন এরইমধ্যে মারা গেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত