গতকাল রোববার দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চত্বরে ১৩টি গ্রামের ৪ হাজার গ্রামবাসী ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্তরা জানান- ৫ বার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লি: পার্বতীপুর, দিনাজপুরকে লিখিতভাবে অবগত করা হলেও কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে না নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করছেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ ঘরবাড়ি সার্ভের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সাংবাদিক সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১৩টি গ্রামের পরিবার পরিজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে। পানির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ করে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের যাদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে- তাদের কয়লা উৎপাদন বোনাস ৫ শতাংশ দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে অধিকার আদায়ে শুধু আন্দোলন করে আসছেন। বাস্তবায়নে বর্তমান কয়লা খনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার অন্যায় ও বৈষম্য সৃষ্টি করছেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আলী হোসেন, রবিউল ইসলাম মন্ডল, আল বেরনী, সাতার ইকবার নয়নন, আবেদ আলী, সাইদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, আব্দুর রহমান বাচ্চু, রবিউল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, হোসেন আলী, মহারাজ, মেনহাজুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ মন্ডল, বিপ্লব হোসেন ও মমিদুল ইসলাম ও এবং তোফাজ্জাল হোসেন, বাবু, মফিজুল ইসলাম প্রমুখ। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লি:-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওযা যায়নি।