ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমন ধানগাছে পোকার আক্রমণ, দিশাহারা কৃষক

আমন ধানগাছে পোকার আক্রমণ, দিশাহারা কৃষক

নীলফামারীর ডিমলা, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদর উপজেলার বিশটা ইউনিয়নে রোপা আমন ধানে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কীটনাশক স্প্রে করার পরও ভালো ফলন পাওয়া নিয়ে শংকা তৈরি হয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, পোকার আক্রমণ ঠেকাতে তারা তৎপর হলেও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে- ডিমলার পূর্ব ছাতনাই, খালিশা চাপানি, জলঢাকার গোলমুন্ডা, বালাগ্রাম, ও সদরের লক্ষিচাপ ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে সবুজের ক্যানভাস। ধানখেতে বেশি করে ফসল ঘরে তুলতে দিন-রাত কাজ করছেন কৃষকরা।

তারা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে জমিনে ওষুধ স্প্রে ও সেচ দেয়াসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারপরও কৃষকদের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ রয়েই গেছে। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষি অফিস সহযোগিতা না করায় অনেকটা বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা বলে সূত্র জানায়।

জলঢাকা উপজেলার খুটামাড়া ইউনিয়নের কৃষক আতোয়ার রহমান জানান, নিজস্ব ও বর্গা নেয়া নব্বই শতক জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন তিনি। পেকার আক্রমণ ঠেকাতে বাজার থেকে কীটনাশক কিনে ফসলি জমিতে স্প্রে করেছেন। কিন্তু, তেমন কাজ হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি।

ডিমলা সদর ইউনিয়নের তিতপাড়া গ্রামের কৃষক মো. হামিদার ৬৫ শতক জমিতে এ বছর আমন ধান চাষ করছেন। ঠিকমতো সার ও সেচ দেয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ ধানখেতে পোকার আক্রমণে চিন্তিত তিনি।

সদরের চোড়াইখোলা ইউনিয়নের সিপাহ পাড়ার কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, নিজের ৪০ শতক ও বর্গা ৩০ শতক জমিতে এ বছর আমন রোপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী। কিন্তু, তার ধানখেতের পাশের জমিতে ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। নিজের জমিতে পোকার আক্রমণ নিয়ে তিনি শঙ্কিত।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বছর নীলফামারী জেলায় আমনের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭২ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে আশাবাদী। এ পর্যন্ত আগাম ৯০ হেক্টর জমির ফসল কর্তন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমনের আবাদে পোকার আক্রমণ বা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠে কাজ করছেন। কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি খুঁজে কি পরামর্শ দেবে! যারা মাঠে রয়েছে তারা ঠিকই পরামর্শ পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত