তিতাসে গোমতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাসে আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন গোমতী নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু নির্মাণ ও বন্ধ থাকা নতুন সেতুর কাজ চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আসমানিয়া বাজার অংশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে আসমানিয়া বাজারের ব্যবসায়ী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করে। জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির রায়পুর বাসস্টেশন থেকে তিতাসের বাতাকান্দি বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। এ সড়কের আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন গোমতী নদীর ওপর আগের সেতুর স্থানে ১০ কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হজাার ৬৯৯ টাকা ব্যয়ে ৭৫ মিটার নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। দুপাড়ের মানুষের চলাচলের জন্য নির্মাণাধীন সেতুর পাশে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮০ মিটারের একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যা এ বছরের ২৯ মে বালুবাহী বলগেটের ধাক্কায় ভেঙে যায়। পরে বলগেটের মালিকদের সহযোগিতায় পুনরায় অস্থায়ী সেতুটি নির্মাণ করা হয়, যা এবারের বন্যার সময় স্রোতে গত ২১ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো ভেঙে যায়। গোমতী নদীর পূর্বপাশে উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তর আসমানিয়া বাজার অবস্থিত। প্রতিদিন পশ্চিম পাড়ের প্রায় ১৩টি গ্রামের লোকজন ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে বাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অপরদিকে পূর্ব পাড়ের প্রায় ৭টি গ্রামের লোকজন উপজেলা সদরের আসা-যাওয়ার জন্য সেতুটি ব্যবহার করে থাকে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন সেতু নির্মাণ কাজ গত ১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। গত বছরের ৮ আগস্ট কাজ শুরু হয়েছে, যার মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এসএবিএনএমই ঠিকাদান প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আগস্ট মাস পর্যন্ত নির্মাণাধীন সেতুর ৩০% কাজ শেষ হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমি ঠিকাদারকে কাজ চালুর একটি তাগাদাপত্র দিয়েছি। গত বুধবার তাদের একজন প্রতিনিধি অফিসে এসে জানিয়েছে আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় অস্থায়ী সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। বিশেষজ্ঞ টিম এসে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করবে। এরপর বরাদ্দ পেলে যত দ্রুত সম্ভব অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।