মোরেলগঞ্জের ডাব যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
দেশের বিভিন্ন জেলাতে পাঠানোর জন্য প্রতিদিন মোরেলগঞ্জের অন্তত ৩০টি গ্রাম থেকে ডাব সংগ্রহ করা হয়। প্রতিদিন বিকাল হলেই ফেরিঘাটে ফেরি পার হওয়ার জন্য ডাবভর্তি নসিমন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
মোরেলগঞ্জ পৌরশহরের ফেরিঘাটের ডাব বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন আমরা ডাবের সন্ধানে নসিমন নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বেড়ান। উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব ডাব সংগ্রহ করেন তারা। তারপর আড়তের মাধ্যমে বা নিজেরাই সেই ডাব ট্রাক, বাসের ছাদে করে রাজধানীতে পাঠিয়ে দেন। ডাব বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। হকাররা মালিকদের কাছ থেকে প্রতি পিস ডাব ৩০-৩৫ টাকা দরে কিনে আনেন। ঢাকার বড় বড় পার্টি আমাদের প্রতি পিস ডাবের মূল্য দেয়া হয় ৫০-৬০ টাকা করে।
চিকিৎসক ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, ডাবের পানিতে মিনারেল ওয়াটার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা হৃৎপিন্ডের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং হৃৎপিন্ডের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডাবের পানিতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কার্যকারিতা থাকায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডাবের পানিতে অ্যান্টি-এজিংপ্রপার্টিস থাকে ।
তিনি আরো বলেন, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের পানি অনেক বেশি কার্যকরী। এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডাবে আছে কার্বোহাইড্রেড যা শক্তি বাড়ায়। এবং শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ করে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ডাবের ফলন ভালো হওয়ায় ও তীব্র পরিমাণ গরম পড়ায় ডাব কাটা হয়েছে বেশি। তবে ডাবের কারণে নারিকেলের ফলন কম হয়েছে। নারিকেল সমৃদ্ধ এ জেলায় নারিকেল ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে চাষিরা নায্য দাম পাওয়ার পাশাপাশি বিপুল মানুষের কর্মসস্থান হবে। সে জন্য এ জেলায় নারিকেলভিত্তিক কারখানা গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডাব উৎপাদনে খরচ অনেক কম। মোরেলগঞ্জে এবার ৬৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি ডাব উৎপাদন হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৪২ কোটি টাকা। ডাব উৎপাদনে এ এলাকার অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। কর্মসংস্থানও হচ্ছে অনেকের।