ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কালের সাক্ষী শ্যামনগরের জাহাজঘাটা নৌদুর্গ

কালের সাক্ষী শ্যামনগরের জাহাজঘাটা নৌদুর্গ

জাহাজঘাটা নৌদুর্গ শ্যামনগর উপজেলা সদরের ৪ কিলোমিটার উত্তরে খানপুর গ্রামে রাজা প্রতাপাদিত্যের নৌদুর্গ। যমুনা-ইছামতি নদীর পূর্বপাড়ে এ জাহাজঘাটার রনতরী তৈরি ও মেরামতের কাজ করা হতো। মুঘল আক্রমণ প্রতিহত করতে রাজা প্রতাপাদিত্য শক্তিশালী নৌঘাটি তৈরি করেন। এ ঘাটিতেই ছিল তার প্রধান কার্যালয় ও পোতশ্রয়। জাহাজঘাটার একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ কালের সাক্ষী হয়ে আছে। এলাকায় লবণাক্ততার কারণে চুন সুরকি খসে পড়ছে। উত্তর দক্ষিণ এ ভবনে ৬টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অফিস, মালখানা, শয়নকক্ষ, স্নানাগার ইত্যাদি। এই ভবনে এক অংশে কোন জানালা ছিল না। ছাদের গম্বুজে বড় বড় ছিদ্র ছিল। এই ছিদ্রগুলোতে স্বচ্চকাঁচ বা স্পটিক বসানো ছিল যা দিয়ে প্রয়োজনীয় আলো প্রবেশ করতো। এ জাহাজঘাটা দুর্গ ৩তলা বিশিষ্ট ছিল। নিচের ২তলা মাঠির নিচে বিলীন হয়ে গেলেও উপরের ১টি এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। এ দুর্গ নির্মাণ করা হয়েছিল ষোলশতকের শেষ দশকে। কালিগঞ্জ থেকে শ্যামনগর যাওয়ার পথেই মৌতলা পার হলেই খানপুর। পাকারাস্তার পূর্ব পাশে এর অবস্থান। জাহাজঘাটার পাশেই নৌ সেনাপতি ডুডলির নামানুসারে বর্তমানে দুদলী গ্রাম। এখানেই নৌকা, জাহাজ নির্মাণ ও সংরক্ষণ ডক ছিল। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী আসছে কালের সাক্ষী এই নৌদুর্গটি দেখার জন্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত