মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং কাউন্সিলর কবিরসহ ৯১ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত বুধবার সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের মানিকগঞ্জ পৌর শাখার আহ্বায়ক ও জেলা জজকোর্টের আইনজীবী মো. মুরাদ হোসেন মানিকগঞ্জ সদর থানায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের নির্দেশনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে আসামিরা গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় সেখানে থাকা একটি মোটরসাইকেলেও তারা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলায় এজাহারনামীয় বাকি আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, আমিরুল ইসলাম মট্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সদস্য-সচিব মাহাবুবুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকার, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকার, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক হাসেম আলী, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা ও কাজী রাজু আহমেদ বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক খান খালিদ, এনামুল হক রুবেল ও আল মামুন, ছাত্রলীগ নেতা মীম ও কম্পন, যুবলীগের জুয়েল ভূইয়াসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।