ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জলাবদ্ধতায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, খাল সংস্কারের দাবি

জলাবদ্ধতায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, খাল সংস্কারের দাবি

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ডুবে আছে মাঠের পর মাঠ। পাকা ধান, মরিচ, সিম বেগুন পেঁয়াজখেত, এমনকি সেচ পাম্পসহ হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল পানির নিচে রয়েছে। পাতাকপি, ফুলকপি, মরিচ গাছগুলো মরে নেতিয়ে পড়েছে। কলা গাছ ভেঙে পড়ে আছে। গ্রামবাসি বলছে জীবনা গ্রাম থেকে রাঙ্গীয়ারপোতা পর্যন্ত কাজল খালটি সংস্কার করা হলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতো। মধুহাটি, সাগান্না ও হলিধানী ইউনিয়নের মাঠেও এমন জলাবদ্ধতা রয়েছে। সদর উপজেলার ডাকবাংলা, রাঙ্গীয়ারপোতা, নাথকুন্ডু, ডহরপুকুর, বাথপুকুর, বেজিমারা, মামুনশিয়া, চোরকোল, বেড়াশুলা, সাধুহাটীর সাইভাঙ্গার বিল ও পোতাহাটীর কুড়ির মাঠ পানিতে ডুবে আছে।

সাধুহাটি গ্রামের কৃষক ইছানুল হক বিশ্বাস জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবনা গ্রামের কিছু লোক বাঁধ দেয়ার কারণে তার গ্রামের এক হাজার বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। তিনি বংকিরা গ্রামে বিএডিসির খনন করা কাজল খালটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, খালটি খনন না করা হলে শীত মৌসুমেও ধান চাষাবাদ করতে পারবেন না। ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, টানা তিন দিনের বর্ষণে জেলায় ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর ফসসি জমি আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতি হওয়া ফসলের মধ্যে রোপা আমন ৯১৩ হেক্টর, সবজি ৬৬৫ হেক্টর, মাসকলাই ১১০৬ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ৯৮ হেক্টর, মরিচ ২০০ হেক্টর, কলা ১৭০ হেক্টর, রোপা আউশ ১০ হেক্টর, তুলা ২১ হেক্টর, পান ২ হেক্টর ও মুগ ডাল ৮০ হেক্টর রয়েছে। আক্রান্ত ফসলের মধ্যে ১১৭৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে মহেশপুর, কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলায়। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন, গত ১৮ সেপ্টম্বর পর্যন্ত একবার ভারি বর্ষণে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছিল, আবার নতুন করে বর্ষণ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আগে তো জেলায় ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছিল ১১৭৫ হেক্টর জমির ফসল। নতুন করে তালিকা করে কৃষি বিভাগ আক্রান্ত ও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করবে। জলাবদ্ধতা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ঝিনাইদহ জোনের সহকারী প্রকৌশলী সৌরভ কুমার বিশ্বাস জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে দেখা গেছে বহু খেতের ফসল বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। তিনি বলেন জলাবদ্ধতা নিরসনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত