নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলায় ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চলছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে একদিকে ভ্যাপসা গরমে যেমন জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে, অন্যদিকে কলকারখানাসহ বিদ্যুৎ নির্ভর কাজকর্মগুলো স্থবির হয়ে পরেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আকিয়াব হোসেন জানান, এই উপজেলায় আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, গভীর-অগভীর নলকূপসহ প্রায় ৬৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এসব গ্রাহকের বিপরীতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় গড় বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৫-১৬ মেগাওয়াট।
কিন্তু বর্তমানে চাহিদার তুলনায় কখনো অর্ধেক আবার কখনো অর্ধেকেরও কম বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া সারাদেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হলে আন্ডার ফ্রিকুয়েন্সির কারণে ঢাকা থেকে স্ক্যাডা অপারেশনের মাধ্যমে ৩৩ কেভি ফিডার বন্ধ করে দিচ্ছে।
এতে আরো বেশি লোডশেডিংয়ের আওতায় পরতে হচ্ছে এই উপজেলাবাসীকে।
আত্রাই উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল আলিম জানান, এই উপজেলায় আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, গভীর-অগভীর নলকূপসহ ৬৫ হাজার ৫৯৮ জন গ্রাহক রয়েছেন। এর বিপরীতে প্রতি দিন-রাত গড় চাহিদা রয়েছে সাড়ে ১৬ মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম বরাদ্দ পাচ্ছেন। এতে করে প্রায় ১৬-১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের আওতায় থাকছে আত্রাই উপজেলা।
তবে কবে নাগাদ এই পরিস্থীতির উন্নতি হতে পারে তা বলতে পারেননি তিনি। রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রখর রোদ আর একটানা খরার কারনে মাঠের পানি প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে জমিতে পানি সেচ দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। এতে আমন আবাদ ঘরে তোলা মুশকিল হবে। বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে আমন আবাদ নিয়ে শংকায় রয়েছেন তিনি। আবাদপুকুর বাজারের ওয়েলডিং কারখানার মালিক হোসাইন বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কাজকর্ম করতে পারছি না। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারনে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হতে হচ্ছে।