ঢাকা ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মহাসড়কে ওভারব্রিজ ব্যবহার করছেন না পথচারীরা

মহাসড়কে ওভারব্রিজ ব্যবহার করছেন না পথচারীরা

ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দৌড়ে পার হতে রাজি। কিন্তুু উঁচু সিঁড়ি বেয়ে নিরাপদে ওভারব্রিজ ব্যবহার করে পার হতে রাজি না পথচারীরা? ঢাকা সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর নামক স্থানে এ দৃশ্য প্রতিদিনের।

প্রায় এক যুগ আগে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ছাতিয়াইন সড়কের সংযোগস্থল রতনপুর এলাকাটিকে গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করে পথচারীদের নিরাপদে পারাপারের জন্য একটি ওভারব্রিজ তৈরি করে সড়ক বিভাগ।

রতনপুর বাসস্টপেজে যাত্রীবাহী পরিবহনে উঠতে প্রতিদিন শতশত মানুষ মহাসড়কের এপার থেকে ওপারে যেতে হয়। ওভারব্রিজ থাকলে ও তা ব্যবহার না করে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হন শত শত পথচারী। নিরাপদে পারাপারের জন্য কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি করা ওভারব্রিজে মহাসড়ক পার হতে চায় না কেউ। ব্যস্ততম মহাসড়কের ওই এলাকা হেঁটে ও দৌড়ে পারাপার হতে গিয়ে চলন্ত যানবাহনের চাপায়, ধাক্কায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাছির মিয়া জানান, রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন বাড়িতে আসেন। মহাসড়ক পারাপারের সময় তিন কৃষক গাড়ি চাপায় মারা যান। এ ঘটনায় তিনি মর্মাহত হন।

ফরাস উদ্দিনের প্রচেষ্টায় নিরাপদে যাতে এলাকার মানুষ মহাসড়ক অতিক্রম করতে পারে এ জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে একটি স্টিলের ওভারব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক বিভাগ। পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হতে রাজি। কিন্তুু কয়েকটি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে ওভারব্রিজ দিয়ে পার হতে চায় না। মহাসড়ক দৌড়ে পার হয়ে আসা সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন ফুটওভার ব্রিজটি অনেক উঁচু আর লম্বা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়, আবার ওই পাশে নামতে হয় তাই সহজেই মহাসড়কে পার হলাম দৌড়ে। কষ্ট হল না। তাহমিনা আক্তার নামে আরেক নারী গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে মহাসড়ক পার হওয়ার পর বলেন- সিঁড়ি বেয়ে কষ্ট করে ওভারব্রিজে উঠতে হবে তাই সহজে হেঁটে রাস্তা পার হয়েছি।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হওয়ার চেয়ে ওভারব্রিজ ব্যবহার করা উচিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত