ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বিদ্যুৎ বিলে ডিজিটাল কারচুপিতে অসহায় হয়ে পড়ছেন সাধারণ গ্রাহক। ভূতুড়ে বিল এবং ঘনঘন লোডশেডিং দুইয়ে মিলে গ্রাহকের অন্তহীন ভোগান্তি। প্রতি মাসে কোনো কারণ ছাড়ায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ না থাকলেও ডিজিটাল কারচুপিতে ঠিকই বাড়ছে বিল। কোন মাসে একশত টাকা, পরের মাসে দেড়শ টাকা এবং পরের মাসে হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে হাজার টাকা। এভাবে বাড়তি ভূতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহক। কেউ কেউ বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে পুরনো দিনের সেই বাতির কথাও চিন্তা করছেন। মুরাদ হোসেন নামে এক গ্রাহক জানান, জুন মাসের বিল ৬১০ টাকা। জুলাই মাসে ৮০৬ টাকা আগস্ট মাসে বিল এসেছে এক হাজার এক টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে বিল পাঁচ হাজার দুইশ টাকা। এভাবেই অসংখ্য গ্রাহকের ভূতুড়ে বিল এসে জমা হচ্ছে। এসব নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে নয় ছয় বুঝানো হচ্ছে। মিটার না দেখে মনগড়া বিল তৈরি করা হচ্ছে। এ অবস্থা বিরাজ করছে চলছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ধোবাউড়া সাব-জোনাল অফিসে। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। গ্রাহকদের অভিযোগ মনগড়া বিল করে সাধারণ গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ধোবাউড়া সাব জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী বলেন, মনগড়া বিল করার কারণে আমরা দু,একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। তিনি আরো বলেন, অতিরিক্তি বিল হলে মিটার পরিবর্তন করে দিবেন। এ বিষয়ে সাধারণ গ্রাহকরা বলেন, যেখানে বিল দেয় ৫০০ টাকা সেখানে বিল হয়েছে ৩ হাজার টাকা, এখন মিটার পরিবর্তন করতে হলে ৩ হাজার টাকা দিয়ে পরিবর্তন করতে হবে। গতকাল সোমবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ ধোবাউড়া সাব জোনাল অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিল নিয়ে হট্টগোল করছেন গ্রাহকরা। তারা বলেন, জমি বিক্রি করে এখন বিল পরিশোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, আমাদের কোনো কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে যদি অতিরিক্ত বিল এসে থাকে তাহলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।