গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং টমেটো চাষে সফলতা

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে লাভবান কৃ রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তিনি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ির পাশে প্রায় ১০ শতক জমিতে সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার) ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় তিনি টমেটো চাষ করেন। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই গ্রাফটিং টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা গেছে, টমেটো চাষে কৃষক মানিক মিয়া মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করেছেন। জমিতে জৈব বালাইনাশক দেয়া হয়েছে। এতে বিষমুক্ত টমেটো উৎপাদন হয়। খেত থেকে এসব টমেটো সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে শুরু করে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। এখানে পাইকাররা এ টমেটো ক্রয় করে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। কৃষক রুহুল আমিন মানিক মিয়া জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি প্রায় ১০ শতক জমি আবাদ করে গ্রাফটিং টমেটো বারি-৮ জাত চাষে সফলতা পান। চাষে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচে ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। বাকি সময়ে আরো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ জাতের টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার) ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মোটিভেশনের মাধ্যমে মালচিং পেপার দিয়ে গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং টমেটো চাষ করেন রুহুল আমিন মানিক মিয়া। এ জাতের টমেটো চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গেলে তিত বেগুনের চারা দিতে হয় একই সঙ্গে। গ্রাফটিং করার উদ্দেশ্য হলো বর্ষাকালে মাটিতে আর্দ্রতা বেশি থাকে। তিত বেগুনে কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে এর শিকড় অনেক শক্ত হয়। ফলে পানি শিকড় নষ্ট করতে পারে না। বাহুবলে এ জাতের টমেটোর চাষ তেমন ছিল না। বর্তমানে কৃষকরা টমেটো চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।