ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

পূর্ব শত্রুতার জের ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার নঈম উদ্দিন সেন্টুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।

ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক ইউপি সদস্য, সচিব রাশিদুল ইসলাম ও কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত নইমুদ্দিন সেন্টু ফিলিপনগর বাজারপাড়ার মৃত মুতালিব সর্দারের ছেলে। জানা গেছে, তিনি অনেক আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউপি কার্যালয়ে বসে কাজ করছিলেন নঈম উদ্দিন সেন্টু। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে।

গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকেরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় একটি পক্ষ। দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন।

দীর্ঘদিন তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত