বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের বিক্ষোভ
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার নারী-পুরুষ। গত সোমবার খনির আবাসিক গেটের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী। এ সময় প্রায় ৫০টি ট্রাকে বিদেশ থেকে আমদাদি করা যন্ত্রাংশ খনিতে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় জীবন ও বসত রক্ষা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সোমবার এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ক্ষতিগ্রস্ত মোসলেমা বেগম, মালেকা বেগম, মো. আলিমুদ্দিন, গোলাম রহমান ও মাসুদসহ আরো অনেকে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ ঘর-বাড়ি সার্ভের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বিক্ষোভ মিছিলসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানানো হয়েছিল কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে টালবাহানা ও মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। আন্দোলন করেও খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি অন্যয় করছে। জীবন ও বসতরক্ষা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, চৌহাটিগ্রামের বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা প্রতি মুহূতে সামনে বিপদ দেখছি। এখন কিছুই বাকি নাই। চৌহাটি গ্রামের মোসলেমা বেগম বলেন, চৌহাটি গ্রামে আমার বাড়ি, স্বামী-সন্তান নিয়ে আমরা রাতে ঘুমাতে পারছি না। সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কবরস্থান রাস্তাঘাট সবই ধ্বংস হয়ে গেছে, অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও আসতে চায় না। চৌহাটি গ্রামের মালেকা বেগম জানান, নলকুপে পানি উঠছে না, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চৌহাটি গ্রামের মশিউর রহমান বলেন, বর্তমান কয়লা খনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম সরকার আমাদের প্রতি অন্যায় ও বৈষম্য সৃষ্টি করছে। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চৌহাটি গ্রামের মাসুদ আলী, গোলাহারুন রহমান প্রমুখ। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, এরই মধ্যে সার্ভে টিম গঠন করা হয়েছে। অতি দ্রুত সার্ভে করে ক্ষতিগ্রস্ত চৌহাটি গ্রামের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এরই মধ্যে ৮ গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু করেছি।