দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৩নং ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত সোমবার রাতে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। এদিকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, পরিবারে পক্ষ থেকে মামলা করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শটগানের গুলি দিয়ে মারা হয়েছে। আরো তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। গত সোমবার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সেন্টু। ঘটনার পর চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। গণমাধ্যমকর্মীদের বেগ পেতে হয় তথ্য সংগ্রহে। সংবাদকর্মীদের ওপর মারমুখী আচরণ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় পুলিশকে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। ফলে প্রায় ৩টা পর্যন্ত সেন্টুর লাশ ওই কক্ষের মেঝেতেই পড়ে থাকে। পরে খবর পেয়ে র্যাব, বিজিবি ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেনাসদস্যদের সহযোগিতায় বেলা ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।