প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই সড়কে ধস

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাঁথিয়া(পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভাধীন আইইউজিআইপি প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই বোয়াইলমারী-আমোষ সড়কের কয়েক জায়গায় এজিংসহ প্যালাসাইডিং অংশ ধসে গেছে। ফলে ব্যস্ততম সড়কটিতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, সাঁথিয়া পৌরসভাধীন বোয়ালমারী স্থানীয় মহাসড়ক থেকে আমোষ তিন মাথা পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৮৮ টাকা ব্যয়ে আইইউজিআইপি প্রকল্পের আওতায় সড়ক প্রশস্তকরণ ও মেরামত কাজের দায়িত্ব পান হারুন ঠিকাদার। গত জুন মাসে তরিঘরি করে কার্পেটিং শেষ করলেও অন্যান্য কাজ বাকি রেখেই সাবেক ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে এটি উদ্বোধনও করা হয়। যে প্রকল্পটিতে এখন সড়ক বাতি লাগানো বাকি রয়েছে। সড়কের ট্রাফিক সাইনও শেষ করা হয়নি। সম্প্রতি ওই সড়কে বেশ কয়েক জায়গায় পাল্যাসাইডিং দুর্বল ও মাটি ঠিকমত ব্যবহার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ধসে গেছে। ফলে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে চরম ব্যহত হচ্ছে। ভারী যানবাহন যেতেই পারছে না। ঝুঁকি নিয়ে রিকশা-ভ্যান চলছে।

সরজমিনে দেখা গেছে- ওই সড়কের তিন জায়গা ধসে গেছে। বোয়াইলমারী সাবেক মেয়র মিরাজুল ইলাম প্রামাণিকের বাড়ির নিকটে, এলিনের বাড়ির নিকটে ও আমোষে মাটি দেয়া দুর্বল হওয়ায় ও প্যালাসাইডিং নতুন না ব্যবহার করে পুরনো প্যালাসাইডিং ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে সামান্য বৃষ্টিপাতেই মাটি ধসে প্যালাসাইটিং ভেরেঙ্গ পুকুরে পড়ে গেছে। এ ছাড়াও সড়কের বেশ কয়েক জায়গায় কার্পেটিং ওঠে যাচ্ছে। কিছু জায়গায় ফাটল ধরেছে যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ রাস্তার অনিয়ম কাজে হতাশ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন বলেন, রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই এভাবে ধসে যাবে, সড়ক ভেঙে যাবে এটা কেমন কথা? নিশ্চয়ই এ কাজে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে।’এমনটাই ধারণা করছে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বাসিন্দারা।

স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সিরাই মিয়া বলেন, ‘এতদিন আমরা অনেক কষ্ট করে যাত্রীদের নিয়ে গাড়ি চালিয়েছি। আশা ছিল সড়কটির কাজ সম্পন্ন হলে হয়তো আমাদের গাড়ি নিয়ে চলাচলের কষ্টটা লাঘব হবে। আমাদের কিছুটা সুখ হবে।

আইইউজিপি প্রকল্পের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমরা তদন্ত করেছি। সেখানে মাটি এবং প্যালাসাইডিং দুর্বল হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাটি ধসে গেছে। যেহেতু এখনও কাজ শেষ হয়নি এমনকি ফাইনাল বিল ও দেয়া হয়নি। পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল হক বলেন, এখানে পুরাতন প্যালাসাইডিং ধরা ছিল তাই বর্তমান কাজে নতুন প্যালাসাইডিং ধরা হয়নি। পাশে পুকুর থাকায় পুরাতন প্যালাসাইডিং পড়ে গিয়েছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, মেরামত করে দেবে।