নওগাঁয় ২ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্বল্পমূল্যে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য (ওএমএস)-এর চাল ও আটা বিক্রি। ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকায় আটা কিনতে পারেন হতদরিদ্র ও নিম্নবিত্তরা। একজন ক্রেতা ৫ কেজি করে নিতে পারবেন। তবে ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধান করে চালু করার দাবি জানান উপকারভোগীরা। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- সদর উপজেলায় ১৮ জন ওএমএস ডিলার আছেন। জনপ্রতি ১ টন আটা ও ১ টন চাল বরাদ্দ। ১৮ জনের মধ্যে প্রতিদিন শহরের ১১ টি পয়েন্টে ১১ জন ডিলার চাল ও আটা বিক্রি করেন। যা থেকে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন হতদরিদ্র ও নিম্নবিত্তরা সুবিধা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে ১৫ জন ডিলারের বরাদ্দ বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিন জন ডিলার ওএমএস বিতরণ করছেন। শহরের মুক্তির মোড়, খলিশাকুড়ি ও সুলতানপুর মহল্লায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্রি কার্যক্রম চলে।
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনপ্রতি ১ টন চাল ও ১ টন আটা বরাদ্দ ছিল। তবে চলতি মাসের প্রথম তারিখ থেকে শুধু আটার বরাদ্দ ৫০০ কেজি বাড়িয়ে দেড় টন করা হয়েছে। এ তিনজন ডিলারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯০০ জন হতদরিদ্র ও নিম্নবিত্তরা সুবিধা পাচ্ছেন। সারা বছরই নওগাঁ সদর উপজেলার ওএমএস এর চাল ও আটা বিক্রি হয়। বাজার মূল্যের চেয়ে দাম কিছুটা কম পেয়ে উপকৃত হন হতদরিদ্র ও নিম্নবিত্তরা। ওএমএস থেকে যে মোটা চাল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে ওই মানের চাল অন্তত ৫৪-৫৮ টাকা কেজি। আবার ২৪ টাকার আটা বাজারে অন্তত ৪০ টাকা কেজি। দাম কম পাওয়ার আশায় হতদরিদ্র ও নিম্নবিত্তরা ওএমএস থেকে কিনতে ভিড় করেন।