মেহেরপুরের মুজিবনগরে চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলমের করা চাঁদাবাজি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটকরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মহাজনপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে হেলাল উদ্দীন লাভলু, বিশ্বনাথপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুস সালাম ও একই গ্রামের মৃত মকছেদ মণ্ডলের ছেলে বাহালুল ইসলাম, দারিয়াপুর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম, কোমরপুর গ্রামের আলিহিম মণ্ডলের ছেলে আজিজুল হক (ভটু)।
ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে ২ অক্টোর ২০২৪ করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মামলার বাদী খোরশেদ আলমের বামনপাড়া বাজারে রফিক কার ওয়াশ ও ভলকানাইজিং নামে একটি ওয়ার্কসপ ছিল। টাকার প্রয়োজনে ওয়ার্কসপটি চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে বামন পাড়া গ্রামের মৃত মোকসেদ মির-এর ছেলে মারুর কাছে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। আসামিগণ জানতে পেরে ৩০ এপ্রিল রাত আটটার দিকে উল্লেখিত আসামিরাসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামা লোক দেশিও অস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্রসহ খোরশেদ আলমের বাড়িতে ঢুকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রাণ ভয়ে খোরশেদ আলম ঘরে রাখা ৫ লাখ টাকা আসামিদের দিয়ে দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমিক দিয়ে চলে যায়। সে সময় খোরশেদ আলম মুজিবনগর থানায় এ নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে অভিযোগটি গ্রহণ করেনি।
থানায় মামলা করতে যাওয়ার কথা আসামিরা জানতে পুনরায় খোরশেদ আলমকে হত্যার হুমকিদেয়। প্রাণনাশের ভয়ে তিনি আর আদালতেও মামলা করার সাহস পাননি। বর্তমানে ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি এই মামলা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।