একটি সেলুনের মেঝেতে পড়েছিল পোশাক শ্রমিক আবু সাঈদের রক্তাক্ত গলাকাটা লাশ। পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা একটি ধারালো ছুরি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সেলুনের নরসুন্দর খলিল।
গত বুধবার রাত ২টার দিকে আবু সাঈদের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা মধ্যপাড়া গ্রামের একটি সেলুনের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পোশাক শ্রমিক আবু সাঈদ (২৩) নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের আল আমিন সরকার বাবুলের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
অভিযুক্ত নরসুন্দর খলিল মিয়া সিলেটের সদর উপজেলার মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি মাওনা মধ্যপাড়া এলাকার স্থানীয় রায়হানের একটি দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে জেন্টস পার্লার নামক একটি সেলুন পরিচালনা করতেন। খলিল মিয়া স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, রাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলাম হঠাৎ পাশের দোতলা সেলুন থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর দেখি নরসুন্দর খলিল রক্তাক্ত জামাকাপড় পরে দ্রুত চলে যাচ্ছে। আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করি। এরপর আমাদের নানা ভয় দেখিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রিগ্যান মোল্লা বলেন, গত ১০ দিন পূর্বে স্থানীয় আবু রায়হানের দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে সেলুন শুরু করে খলিল। কিন্তু এর পূর্ব থেকেই খলিল এবং আবু সাঈদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। আবু সাঈদ নিয়মিত খলিলের বাড়িতে যাতায়াত করত। এক পর্যায়ে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সাঈদের প্রেমের সম্পর্ক হয়।
বিষয়টি বুঝতে পেরে বন্ধুকে বুধবার রাতে সাঈদকে সেলুনে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। লাশ উদ্ধার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।