এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৬০ টাকা। গতকাল শুক্রবার প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৮০-২৯০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়। অতি বৃষ্টিতে মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় আকাশচুম্বি দাম বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচামরিচের পাইকারি বাজার হচ্ছে গাংনী কাঁচা বাজার। অন্যান্য বছর মৌসূমের এ সময়টিতে প্রতিদিন আমদানী ছিল ৩০-৩৫ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ। এবার মরিচ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় বিরুপ প্রভাব পড়েছে বাজার দরে। প্রতিদিন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ৫-৭ মেট্রিক টন পর্যন্ত। এই পাইকারি বাজারে গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবার সেই দর দাঁড়িয়েছে তিনশ টাকার কাছাকাছি। এলাঙ্গি গ্রামের মরিচ চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, মরিচের শুরুতে তীব্র তাপদাহের কবলে পড়ে মরিচ খেত। গেল মাসে দুই দফা বৃষ্টিপাত এবং চলতি মাসের শুরু থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেশিরভাগ মরিচ খেত নষ্ট হয়েছে। এতে চাষিরা লোকসানের কবলে পড়ার পাশাপাশি চড়া দরের কবলে পড়েছেন ক্রেতারা।
এখন চলছে মরিচের ভরা মৌসূম। গত মাসের শুরুর দিকে এক বিঘা জমি থেকে ৭/৮ মণ মরিচ তুলেছেন কৃষকরা। এখন শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে কৃষকদের।
ধানখোলা গ্রামের কৃষক লালন হোসেন জানান, তার দেড় বিঘা মরিচ খেতের প্রায় সব শেষ। বৃষ্টির পানিতে মরিচ গাছ পচে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার তিনি ৬ কেজি মরিচ পেয়েছেন। এই খেত থেকে গত মাসে তিনি এক দিনে সাত মণ মরিচ তুলেছিলেন।
গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম জানান, এ বাজারের মরিচ প্রতিদিন ঢাকার বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয়। এখন এলাকার চাহিদা মেটাতে অন্য জেলা থেকে মরিচ আনতে হবে।
একই বাজারের আড়তদার নাজমুল ইসলাম জানান, চাষিদের ক্ষতির পাশাপাশি বাজারের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মরিচের উৎপাদন ভালো না থাকায় সবারই আয় কমে গেছে।