দৌলতপুরে অতি বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

অতিবৃষ্টির কারণে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ব্যাংগাড়ী মাঠে মরিচ, মাসকলাই, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন ওই অঞ্চলের কৃষকরা।

কয়েক বছর আগে পানি নিষ্কাশনের জন্য ক্যানেল তৈরি করা হলেও সেটি এখন ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ওই মাঠের সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

শনিবার সকালে সরেজমিনে গেলে ওই অঞ্চলের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা থাকলে ফসলের তেমন ক্ষতি হতোনা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে বরাদ্দ পেলে পুনরায় ক্যানেল খনন করে দেয়া হবে।

তথ্যমতে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আওতাধীন ২০২০-২১ অর্থ বছরে দুই ধাপে ৪০ দিনের প্রকল্পে পানি নিস্কাশনের জন্য ক্যানেল তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সেটি ভরাট হয়ে যায়। তবে নতুন করে বরাদ্দ পেলে ক্যানেলটি পুনঃখনন করে দেয়ার আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ।

কৃষকরা জানায়, আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ব্যাংগাড়ীর কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে সারা বছরই প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়, যা ওই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়েও দৌলতপুরের বিভিন্ন পাইকারি কাঁচা আড়তে বিক্রি করে থাকেন কৃষক।

এবছর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার কারনে মাঠের মরিচ, মাসকলাই, টমেটো তুলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল পানিতে তলিয়ে আছে।

যার ফলে এ বছর ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে ওই অঞ্চলের কৃষকদের।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দি হওয়ার কারণে ব্যাংগাড়ী মাঠে কৃষকের কয়েক হাজার জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নিস্কাশন করার ব্যবস্থা থাকলে কৃষকরা তাদের মূল্যবান ফসল রক্ষা করতে পারতো।

ক্যানেলটি পুনঃখনন করার বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয় থেকে সামনে কোনো বরাদ্দ আসলে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্নয় করে ক্যানেলটি সংস্কার করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এ বছরের মতো আগামীতেও যেন এমনভাবে লোকসান না গুণতে হয় সে জন্য ক্যানেলটি পুনরায় খনন করার জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী কৃষকরা।