ঢাকা ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়নপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে হাঁটুপানি

নারায়নপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে হাঁটুপানি

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের নারায়নপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন থেকেই পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। সেখানে নেই কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ। পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে দেয়ায় বর্ষা মৌসুমজুড়েই লেগে আছে জলাবদ্ধতা। ফলে জমে থাকা পানিতে নেমেই চিকিৎসা আর ওষুধ নিচ্ছেন রোগীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বার বার ওপর মহলে এসব অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।

জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত সাধারণ জনগণের চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে একডালা ইউনিয়নের নারায়নপাড়া গ্রামে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এক সময় উপজেলার পূর্বাঞ্চলের জনসাধারণের চিকিৎসার আশ্রয়স্থল ছিল এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনের ছাদের পলেস্তরা খসে পরায়, দেয়ালে ফাটল ধরায় এবং অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এর পরেও ভবনটি মেরামত বা সংস্কার না করেই সেখানেই চলছে চিকিৎসাসেবা। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট আসাদুল ইসলামের ভাষ্য, এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬০-৮০জনকে সেবা দিতে হয়। মাথার ওপর ছাদের পলেস্তরা খসে পরছে যে কোনো সময় পুরো ছাদই ধসে পড়তে পারে। কিন্তু চিকিৎসা সেবা প্রদানে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।

তিনি জানান, বহুবার চেষ্টা করেও বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারেননি। ফলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই বসে সেবা দিতে হচ্ছে। তবে এলাকার লোকজনের সঙ্গে ভাল সর্ম্পক থাকায় মাঝে মধ্যে হাত পাখা দিয়ে যান সেবাগ্রহীতারা। এ ছাড়া গত প্রায় ৩/৪ বছর হলো বর্ষা নামলেই পুরো বর্ষা জুরেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চতুর দিকে পানি জমে থাকে।

ফলে হাটু পানি ভেঙেই রোগীরা এসে চিকিৎসা নিয়ে যান। আবার অনেক সময় পানিতে দাঁড়িয়ে থেকেই ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন রোগীরা।

চিকিৎসা নিতে আসা তহমিনা বেওয়া, এলাহী, সখিন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন জানান, এলাকার লোকজনের একমাত্র ভরসা এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবকাঠামো সংস্কার কিম্বা মেরামতে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই। গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে গত ৩/৪ বছর ধরে বর্ষা মৌসুম আসলেই পুরো বর্ষা জুড়েই জলাবদ্ধতা থাকে। এতে হাটু পানি ভেঙে এবং পানিতে নেমে থেকেই ওষুধ নিতে হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএর কর্মকর্তা ডা. কেএইচএম ইফতেখারুল আলম বলেন, ভবনটি ভেঙে নতুন করে নির্মানের আবেদন করা আছে। কিন্তু কবে থেকে কাজ শুরু হবে তা বলা যাচ্ছে না। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনে স্থানীয়ভাবে নালা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি অনেক জায়গাতে এমন জলাবদ্ধতা রয়েছে। নারায়নপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরেজমিন গিয়ে দেখে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত