টানা ভারী বর্ষণের ফলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সৃষ্ট বন্যার অবনতি হয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় সমগ্র উপজেলায় পানি প্রবেশ করেছে। গত শনিবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় পোড়াকান্দুলিয়া, গোয়াতলা, বাঘবেড়, ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নে বেড়েছে বন্যার পানি।
এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার পরিবার। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পোড়াকান্দুলিয়া এবং দুধনই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে সাধারণ মানুষ। সেখানে খাবার এবং নিরাপদ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বানভাসিদের মতে, ১৯৮৮ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি কেউ। বন্যায় তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন আমন ফসল। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের তথ্যমতে, ধোবাউড়ায় ১১ হাজার হেক্টর জমির আমন ফসল এবং ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজি আক্রান্ত হয়েছে, আরো বাড়তে পারে। তবে পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে সীমান্তের ঘোষগাঁও এবং দক্ষিণমাইজপাড়া ইউনিয়নে।
ওইসব এলাকায় নেতাই নদীর পানির প্রবল স্রোতে প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে পাকা রাস্তাগুলোও পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। অসংখ্য পুকুর ভেসে গিয়ে বানের পানিতে ভেসে গেছে মাছ। এদিকে পানিবন্ধী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। সকালে ঘোঁষগাও নেতাই নদীতে ট্রলারযোগে ত্রাণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন। তবে বন্যাদুর্গতরা জানান, যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তা খুবই অপ্রতুল।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন- আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি, জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হবে।
গত বৃহস্পতির সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা ২৪ ঘণ্টার অবিরাম বৃষ্টিতে ধোবাউড়ায় বন্যার দেখা দেয়। এরপর থেকে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা আসিছুর রহমান মানিক বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বানভাসি মানুষের কাছে গিয়ে খাবার বিতরণ করছেন।