ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাল সরবরাহ না করায় জামানত বাজেয়াপ্ত

চাল সরবরাহ না করায় জামানত বাজেয়াপ্ত

বোরো মৌসুমে সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় হবিগঞ্জের দুই রাইসমিল মালিকের (মিলার) জামানতের ২৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার হবিগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চাই থোয়াই প্রু মার্মা এ তথ্য জানান। চুক্তি ভঙ্গকারী ব্যবসায়ীরা হলেন- জেলা সদরের এসএন অটো রাইসমিলের স্বত্বাধিকারী শংকর পাল ও মাধবপুর উপজেলায় বেলঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানহা অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোশাররফ হোসেন চৌধুরী। শংকর পালের মিল থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে সরকারের গুদামে ১ হাজার ৩৪৮ টন ও মোশাররফের মিল থেকে ১ হাজার ৩১৩ টন সিদ্ধ চাল সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু মোশাররফ মাত্র ৪৮ টন অর্থাৎ এক শতাংশের কম সরবরাহ করেন। অন্যদিকে শংকর পাল কোনো চাল সরবরাহ করেননি। যেসব মিলার চাল সরবরাহে ব্যর্থ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। চুক্তির পরিমাণের ৬০ শতাংশের কম চাল সরবরাহকারী মিলগুলোর জামানত বাজেয়াপ্ত করার কথা নির্দেশনায় বলা আছে। তারা শাস্তিস্বরূপ আগামী দুই মৌসুমের জন্য সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের সুযোগ পাবেন না। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চাই থোয়াই প্রু মার্মা জানান, শংকর পালের প্রায় ১২ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা এবং মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর ১১ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা জামানত রয়েছে। প্রতিজনের দুই থেকে তিন হাজার বস্তা বাবদ জামানতের আরো কিছু টাকা আছে। এসব টাকা সরকারি কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শংকর পাল চাল সরবরাহ করতে পারেননি এমন কারণ দেখিয়ে জামানতের ১২ লক্ষাধিক টাকা রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। এদিকে জেলার চুনারুঘাটের ফাহিম অটোমেটিক রাইসমিলের মালিক ২ হাজার ৩২৮ টন চাল সরবরাহের কথা থাকলেও তিনি ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ৯৯৬ টন সরবরাহ করেছেন। চুক্তির পরিমাণের ৬০ শতাংশের বেশি পরিমাণ সরবরাহকারী হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় তার জামানত অবমুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত