সবজির দামে দিশাহারা নিম্নআয়ের লোকজন
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নওগাঁ প্রতিনিধি
বৈরি আবহাওয়ায় নওগাঁয় কমেছে শাক-সবজির উৎপাদন। এতে হাট-বাজারগুলোতে সরবরাহ কমে আসায় সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে সবধরনের শাক-সবজির দাম বেড়েছে অন্তত ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। উত্তাপ ছড়িয়েছে সবজি বাজারে।নওগাঁ পৌর পাইকারি সবজি বাজার সূত্রে জানা যায়- সপ্তাহের ব্যবধানের কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। এছাড়া কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে করলা ৮০ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, ১০ টাকা বেড়ে বরবটি ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৯০-১০০ টাকা এবং সবুজশাক-লালশাক ও পালংশাক ২০ টাকা বেড়ে ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুলা ও আলুর দাম। মুলা ৪০ টাকা ও আলু দেশি-হলেন্ডার ও কাটিনাল ৫০-৫৮ টাকা কেজি। গ্রীষ্মকালীন মৌসুম শেষ এবং রবি বা আগাম শীতকালীন মৌসুম শুরু হয়েছে। এ দুই কারণে সবজির উৎপাদন কম হচ্ছে। আবার গত কয়েকদিন থেকে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে মাটিতে রস জমে যাওয়ায় গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পঁচানি রোগ দেখা দেয়ায় ফলনও কম হচ্ছে। এতে সবজির উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। ক্রেতারা বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়া আগাম শীতকালীন শাক-সবজির জন্য ক্ষতিকর। হাপানিয়া গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন- গত কয়েকদিন থেকে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি আবার সূর্য উঠছে। মাটিতে রস জমে যাওয়ায় শাকের ক্ষেতে পঁচানি রোগ দেখা দেয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শাকের উৎপাদন কম হচ্ছে। সবুজশাক কয়েকদিন আগে ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নওগাঁ সদর উপজেলার ব্রুজরুক আতিতা গ্রামের কৃষক শামসু হক বলেন- ৭ কাঠা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছি। বেগুন গাছের পাতা ছোট হয়ে আসছে। কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না। বেশ কিছু গাছ উফড়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে জমিতে যেন কোনোভাবে পানি জমতে না পারে এজন্য কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।