গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মেহগনি গাছ কেটে বাড়ির ফার্নিচার বানানোসহ অবশিষ্ট টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানা জানি হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, ৪৫/৫০ বছর আগে ঐতিহ্যবাহী গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বৃহদাকার ৭টি মেহগনি, ৩টি কাঁঠাল গাছসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন গাছ লাগানো ছিল। গত জুন ও জুলাই মাসে বিদ্যালয়ের জন্যে নতুন একটি একাডেমিক ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়। এ সময় ভবন নির্মাণের স্বার্থে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোনো টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলি কেটে বিদ্যালয়ের পাশে স্তুপ করে রাখে। গত জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে যোগসাজশে অতিগোপণে স্তুপ করে রাখা প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের কাঠ এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। সম্প্রতি কাঠ বিক্রির খবর এলাকায় রটে গেলে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একজন শিক্ষক জানান, ওই কাঠের ভেতর থেকে কিছু কাঠ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজের বাড়ির আসবাবপত্র তৈরির জন্যে নিয়ে গেছে। অবশিষ্ট কাঠ এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়ে সমুদয় টাকা সিন্ডিকেট করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার কুন্ডু বলেন, গাছ কাটার পর আমি ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। বিষয়টি সাবেক প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন। তা ছাড়া, ভবন নির্মাণের স্বার্থে গাছ টেন্ডার দিয়ে বিক্রির সময়ও ছিল না। গাছ বিক্রির ৬০ হাজার টাকা আতিয়ার রহমান নামে এক ব্যবসায়ী আমার কাছে দিয়েছিল।

যা পাঁজিয়া রূপালী ব্যাংকে বিদ্যালয়ের হিসাবে জমা রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী বলেন, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে গাছ লাগানো ছিল তার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ২০/৩০ হাজার টাকা হবে।

আমি এপ্রিলে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসরে যাই। আমার অবসর কালিন সময়ে বিদ্যালয়ের কোনো গাছ কাটা হয়নি। গাছ কাটা হয়েছে জুন, জুলাই মাসে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিল্লুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তা ছাড়া, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও দেয়নি। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।