চাঁদপুরে ২২০টি পূজামণ্ডপে হচ্ছে দুর্গোৎসব

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও সনাতন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে দুর্গাপূজা করছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। শেষ সময়ে মাটির প্রলেপ, রং তুলির আঁচর এবং সাজস্বজ্জায় ব্যাস্ত প্রতীমা শিল্পীরা। এদিকে পূজোকে ঘিরে নানা আশঙ্কার মধ্যেও ভালোভাবে পূজো শেষ করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় মাঠে থাকবে পূজা পরিষদ ও ঐক্য পরিষদের নেতারা। দূর্গোৎসবকে ঘিরে জেলায় সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতারসহিত প্রস্তত প্রশাসন। গত রোববার শহরের পালপাড়া মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় প্রতীমা ও বিগ্রহে রং তুলির আঁচর দিচ্ছেন প্রতীমা শিল্পীরা। চাঁদপুর সদরের আশিকাটির শ্রী শ্রী স্বচ্চিদানন্দ শ্যাম সুন্দর হরিসভার সভাপতি হারাধণ চন্দ্র দত্ত বলেন, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা এবং শুভ্র কাশফুল জানান দিচ্ছে শরতের শারদীয়া দূর্গোৎসবের। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা করে সনাতন ধর্মালম্বীরা। এরই মধ্যে চাঁদপুরের ২২০টি পূজো মণ্ডপে প্রতীমা ও অন্যান্য দেবতার বিগ্রহ তৈরিতে মাটির প্রলেপ ও রং তুলির আঁচরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। কোথাও কোথাও প্রতিমায় শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার পড়াচ্ছেন শিল্পীরা। পূজামণ্ডপ গুলোর আলোকসজ্জ্বা ও সুন্দর্য বর্ধনসহ নিরাপত্তাজনিত কাজকর্মেও সনাতনীদের ব্যস্ততা সবার নজর কেড়েছে। চাঁদপুর জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব পার্থ গোপাল দাস বলেন, দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন দেবী দুর্গা। এবার ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হয় এবং ১২ অক্টোবর মহাদশমীর বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। পৃথিবীতে এবছর দেবী দুর্গার আগমন হচ্ছে দোলায় চড়ে এবং তিনি কৈলাশে ফিরবেন ঘোড়ায় চড়ে। প্রতীমা শিল্পী কমল পাল, অভিজিৎ কুমার অমিত, শ্যামল পালসহ অন্যরা বলছেন, বৃষ্টি ও বন্যায় খড় ও মাটি পেতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। তার ওপর এবার মণ্ডপে রেখেই প্রতীমা ও অন্যান্য দেবতার বিগ্রহ তৈরি করতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে সময় পুষিয়ে নিতে ঘাম ঝড়াতে হচ্ছে। রংসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ায় মজুরি ভালো পাবো কী না দুশ্চিন্তায় রয়েছি। চাঁদপুরের দেবপুরের পল্লী চিকিৎসক লিটন সরকার বলেন, দেবী দুর্গার অন্যান্য অস্ত্রের মধ্যে প্রধান অস্ত্র ত্রীশূল। আর বাহন সিংহ। তাই দেবীর আগমনিতে প্রত্যেক সনাতনীর মনেই উৎসবের আমেজ। আর এই দুর্গোৎসবকে ঘিরে মার্কেটগুলোতেও জামাকাপড় ও অন্যান্য কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন সনাতনীরা। তবে সারা বছর পূজোর এই সময়টুকুতে মহা আনন্দের জন্য অপেক্ষায় থাকলেও এবার মনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতে অনেকটা শঙ্কা রয়েছে। চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ বলেন, সুন্দর ও যথাযথ সনাতন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে শারদীয় দুর্গোৎসব করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে চাঁদপুরে প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের সাথেও সমন্বয় রেখেছি।