একসময় ঘাঘট নদী ভাঙনে বেশ কিছু বসতবাড়ি বিলীন হয়। আর এই ভাঙনরোধে কাজ করে পাউবো। বসানো হয় জিও ব্যাগ। এ কাজের এক বছর যেতে না যেতেই ধসে যাচ্ছে সেই ব্যাগগুলো। এখন বসতবাড়ির সন্নিকোটে ঠেকেছে ভাঙন। তখন নিম্নমানের কাজ করায় ফের নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। বর্তমানে প্রায় ৩০ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১০ পরিবারে কাটছে নির্ঘুম রাত। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে এমন এক চিত্র দেখা গেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া) এলাকায়। সেখানে অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি। একই সঙ্গে বসতভিটা ভাঙন আতঙ্কে ভুগছেন ৩০ পরিবারের শতাধিক মানুষ। জানা গেছে- সম্প্রতি চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া) নামকস্থানে ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে ¯্রােতের গতিবেগ। এখানে নদীর বাঁক থাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। এরই মধ্যে নদীগর্ভে যাচ্ছে কৃষকের আবাদী জমি। এ ছাড়া এই স্থানে পাউবোর বসানো জিও ব্যাগগুলোও ধ্বসে পড়ছে। ফলে হুমকির মুখে ৩০ পরিবারের মানুষ। বিশেষ করে বাচ্চা মিয়া, মান্নান মিয়া, আইয়ুব আলী, রাজ্জাক মিয়া, জরিপ মিয়া ও খবির উদ্দিনসহ আরো বেশ কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শাফিউল ইসলাম বলেন, চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া) নামকস্থানে ঘাঘট নদীর করাল গ্রাসে ইতোপূর্বে আল আমিন, একরামূল ও শফিকুলসহ আরো অনেকে বাপ-দাদার বসতভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র। এখানে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করলেও তা টেকসই হয়নি। নিম্নমানের কাজের কারণে এরই মধ্যে এই ব্যাগগুলো ধ্বসে যাচ্ছে নদীতে। ফলে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া না হলে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে একাধিক বসতবাড়ি। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মণ্ডল) বলেন, ওইস্থানে নদী ভাঙনের বিষয়টি জানা নেই। ক্ষতিয়ে দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কথা বলা হবে। সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হাবীব জানান-এ উপজেলাধীন ঘাঘট নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙনরোধে ডিসিকে অবহিত করা হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়- ঘাঘটের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে নদী ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।