মানিকগঞ্জে আলোচিত জহুরা হত্যা মামলা করার ২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
গত সোমবার র্যাব-৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর জহুরা (৪৭) মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় ধোয়া মোছার কাজ করেন। পরিচয় ঘটে গ্রেপ্তার সবজি বিক্রেতা আব্দুস সালামের সঙ্গে। মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ট হতে থাকে। চলে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক।
সর্বশেষ গত ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক পৌনে দুইটার সময় ভিকটিম জহুরা মোবাইল ফোনে ছালামকে কৌশলে মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশে একটি নির্জন স্থানে ডেকে নেয়। সেখানে জহুরা ছালামের নিকট টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে ছালাম।
এ সময় জহুরা অচেতন হয়ে পড়ে এবং মৃত্যুবরণ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে জহুরার মোবাইল ফোন নিয়ে সটকে পড়ে ছালাম। ৫ অক্টোবর দুপুরে জহুরার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ২ ঘণ্টাার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালি গ্রামের কিতাব আলীরছেলে আ. ছালামকে (৫০) পৌরসভার জাগির এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ বিষয়ে লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন জানান, এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। মামলা রুজুর ২ ঘণ্টার মধ্যে রাবের একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তি, আলামত ও ঘটনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবজি বিক্রেতা আ. ছালামকে গ্রেপ্তার করে।