হালুয়াঘাটে বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। উপজেলার বাড়িঘর ও সড়ক থেকে পানি নামছে। উজানের পানি কমলেও তবে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। বর্তমানে চরম দুর্ভোগের শিকার বানভাসিরা।
বন্যায় অনেকের কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। পাকা ঘরেও আসবাবপত্রসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাড়িঘর বসবাস করার উপযোগী নয়। বন্যায় গবাদি পশু, হাস-মুরগি ও মাছের খামার ভেসে যাওয়ায় অনেকের অর্থনৈতিক অবলম্বনও শেষ হয়ে গেছে। কারো কারো দোকানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েগেছে। এ অবর্ণনীয় ক্ষতি কীভাবে পোষাবেন, কীভাবে বছরের পর বছর গড়া বাসস্থানের নানা উপকরণ আবার জোগাড় করবেন, সে দুশ্চিন্তায় অনেকেই।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রান বিতরণ করা হলেও এখনো অনেক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছেনি। সড়কের আশপাশের বাসিন্দারা ত্রাণ পেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেকেই এখনো প্রয়োজনীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না। ফলে খেয়ে-না খেয়ে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটছে তাদের। এ ছাড়াও অনেক এলাকায় এখনো সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার ঘুরে দেখা যায়, উজানের বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। দিনের শুরু থেকে সূর্যের দেখা পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানা যায়, গ্রাম গুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। বেড়েছে ডায়রিয়া ও পানি বাহিত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, এরই মধ্যে পানিবাহিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাদেরকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহমেদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে সরকারি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।